জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে শহুরে কোলাহল মুক্ত দেশের একমাত্র বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।
ইতিহাস
হিমালয় কণ্যা গাঙ্গেয় বদ্বীপ বিধৌত বাংলাদেশের এক রুদ্র জনপদের নাম মধুপুর গ্রাম। বর্তমানে সড়ক যোগাযোগের কিছু উন্নতি হলেও ভোরের শিশির স্নিগ্না দূর্বাসম, পূত পবিত্র, নিরীহ ও অনগ্রসর জনগণের সার্বিক জীবনধারণের জন্য মধুপুর তথা শরীয়তপুরে নেই উন্নয়ন সম্পৃক্ত কোন দপ্তরের ভৌত অবকাঠামো। ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাণিজ্য এবং পরিবেশ সংরক্ষণে অঞ্চলটি শুধু অনগ্রসরই নয় বরং চরম অবহেলিত। পদ্মা সংলগ্ন এই চরাঞ্চলের এই দুঃখজনক জীবন ব্যবস্থায় বিচলিত হয়ে পড়েন আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন জনাব জয়নুল হক সিকদার। তিনি শরীয়তপুরকে জাতীয় প্রগতির মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে বিস্তৃত করেন সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনার শাখা প্রশাখা। জনগণকে সার্বিক দিক থেকে আত্ননির্ভরশীল করতে ও পশ্চৎপদ শরীয়তপুর অঞ্চলের মানুষের মাঝে উচ্চ শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কোমল ও কাঠিন্যে ঋদ্ধ এই সুশৃঙ্খল সাধকের উদ্যোগ্যে শরীয়তপুরে গড়ে উঠেছে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয়। শরীয়তপুর ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলার ছাত্র-ছাত্রী গণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।
প্রতিষ্ঠা
দেশের পশ্চাৎপদ জনপদ শরীয়তপুর অঞ্চলের মানুষের মাঝে উচ্চ শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে জেড, এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব জয়নুল হক সিকদার তার নিজ জেলা শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানাধীন মধুপুর গ্রামে ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। এর নেপথ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা পর্ষদ ও দেশ বিদেশের সনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর ডিগ্রীধারী শিক্ষক/শিক্ষিকাদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা। প্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষেই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রশংসা অর্জন কুড়াতে সমর্থ হয়। উন্নত বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি চারটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
অনুষদ সূমহ
বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যায়ে ৪টি অনুষদে ৮টি বিভাগের অধীনে ১২ টি প্রোগ্রামে চালু আছে। সেগুলো হচ্ছে-
মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ
- বি.এ.ইন ইংলিশ (সম্মান)
- এল এল.বি (সম্মান)
- এল এল.বি (পাস)
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
- বি বি এ
- এম বি এ (রেগুলার)
- এম বি এ (প্রফেশনাল)
প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি অনুষদ
- বি.এস-সি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- বি.এস-সি ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
- বি.এস-সি ইন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- বি.এস-সি ইন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং
বিজ্ঞান অনুষদ
- বি.এস-সি ইন এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্স
- মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ্
বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য সমূহ
- সবুজ প্রকৃতিক পরিবেশে শহুরে কোলাহল মুক্ত দেশের একমাত্র বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।
- ৬ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত নিজেস্ব সুবিশাল ক্যাম্পাস।
- রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত মনোরম প্রকৃতিক পরিবেশ।
- অভিজ্ঞ ও দক্ষ পূর্ণকালীন শিক্ষকমন্ডলী।
- দেশের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ ও খন্ডকালীন শিক্ষকমন্ডলী।
- ক্ষেত্র বিশেষ ১০০%পর্যন্ত বেতন ছাড়।
- ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধায় এবং ব্যাপক পরিসরে পৃতক হোষ্টেল।
- বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেস্ব বাস সমূহে পরিবহন সুবিধা।
- মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম।
- ডরঋরএর আওতায় ওহঃবৎহবঃ সুবিধা।
- সমৃদ্ধ লাইব্রেরী।
- সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব,বিজ্ঞান ল্যাব এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব।
- দূর্বল এবং অমনোযোগী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা।
- তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক যুগোপযোগী সিলেবাস।
- খধি (ঊাবহরহম) এবং গইঅ এর জন্য সন্ধ্যকালীন ক্লাস।
- গ্রীন ক্লাব,ইংলিশ ল্যঙ্গুুয়েজ ক্লাব,বিজনেস ক্লাব।
- সেমিনার,ওয়ার্কশপ,বির্তক প্রতিযোগীতা ইত্যাদি।
- খেলাধুলা ও সাংকৃতিক কর্মকান্ডের চর্চা।
- আন্তর্জাতিক মানের টেনিস,বাসকেট বল,ব্যডমিন্টন,ভলিবর,ফুটবল, ক্রিকেটসহ আধুনিক খেলার মাঠ।
- সকল আধুনিক সুবিধাসহ শিক্ষকদের আবাসন ব্যবস্থা।
- ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ব্যাংকিং সুবিধা।
- ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মেডিকেল সুবিধা।
- জেলা সদরের সাথে সহজ সড়ক যোগাযোগ।
অর্জন
- শিক্ষাদান ও গবেষণার কাজ পরিচালনার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় সমসাময়িক ও প্রয়োজন মাফিক কোর্স চালু করেছে যাতে করে ছাত্র ছাত্রীরা একটি নির্ভরযোগ্য কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং দেশের কল্যাণ এবং দেশের প্রয়োজন ও উন্নতি নিহিত থাকে।
- উপযুক্ত শিক্ষাদান ,শিক্ষ এবং গবেষণা সম্পসারণ লক্ষ্যে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় সঠিক বাহি্যক ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা,রসদ সরবরাহ এবং সবোর্পরি একটি মানসম্মর্ত পরিবেশের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
- বিভিন্ন প্রকার গবেষণা কাজসমূহ যেমন পরিবেশ ,তথ্য-প্রযুক্তি এবংঅন্যান্য গুরুত্বপূন্য ক্ষেত্রে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।
ভবিষৎ পরিকল্পনা
- জেড.এইচ.সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান এবং দক্ষতাকে এমন ভাবে শানিত করা যে তারা তরুন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজ নিজ পেশায় নেতৃত্ব দান করতে পারে।
- জেড.এইচ সিকদার বিজ্হান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসার এবং শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অন্যান্য গুরুত্বপূন্য বিষয়ে পাঠদান করতে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিশুতিবদ্ধ। প্রত্যেক বিষয় এমন ভাবে সাজানোহয়েচে যেন শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা শেষে দেশ এবং আধুনিক বিশ্বের সেবা করতে পারে।
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রসারের মাধ্যম দেশের উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনত করা।
অবস্থান
স্থায়ী ক্যাম্পাস
জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
গ্রাম: মধুপুর, পোস্ট: কার্তিকপুর,
ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর, বাংলাদেশ।
সিটি ক্যাম্পাস
জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
২৯৫/জ/১৪, রায়েরবাজার বাজার,
সিকদার রিয়েল এস্টেট, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯ বাংলাদেশ।